উৎসবে নিজের যত্ন

রোজা মানেই বাড়তি কাজের চাপ। তার উপরে একটা বড় সময় ধরে পানি না পান করা বা মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠার একটা চাপ তো থাকেই। তাই নিজের যত্নটা শুধু উৎসবমুখো না রেখে নিত্যদিনের সহযোগী করে নিলে যেমন নিজেকে সুন্দর রাখা যায় তেমনি উৎসবে নিজেকে সাজিয়ে তোলার ঝামেলাও কম হয়। 

সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রেই পরিচ্ছন্নতা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার খুব জরুরি। কেমিক্যাল ফেসওয়াশের চেয়ে প্রাকৃতিক উপকরণ পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি গভীর থেকে ত্বকের যত্নও নিতে পারে। নারকেল তেল ও মধু পরিমাণমতো মিশিয়ে মুখে-ঘাড়ে-গলায় মেখে ধুয়ে ফেলুন ১২/১৫ মিনিট পর। প্রতিদিন এভাবে মুখ ধুলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার থাকবে। 

সপ্তাহে তিন দিন অথবা শুধু ছুটির একটি দিন ত্বক উপযোগী উপটান লাগাবেন। এক্ষেত্রে প্রথমেই ক্লিনজিংয়ের জন্য নারকেল তেল দিয়ে মুখ, ঘাড়, গলা ম্যাসাজ করে নিন ৪/৫ মিনিট। এরপর হাত পানিতে ভিজিয়ে ফের ম্যাসাজ করুন। এভাবে ডিপ ক্লিনজিংয়ের পর কুসুম গরম পানিতে একটি নরম ওয়াশক্লথ প্রায় ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে নরম করে নিন। নরম ওয়াশক্লথটি দিয়ে ত্বক ভেজা অবস্থায় খুব আলতো করে ঘষতে থাকুন। এভাবে কিছুক্ষণ করলেই ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার হবে। 

এরপর মাস্ক লাগানোর পালা। শিট মাস্ক, ক্লে মাস্ক ও স্লিপিং মাস্ক অথবা ঘরে বানানো উপটান ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক অনুযায়ী উপটান ব্যবহারের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন তা আপনার ত্বকে সহ্য হচ্ছে কি না। ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য সপ্তাহে অন্তত একবার ক্লে মাস্ক বা তিনবার শিট মাস্ক ও স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিটামিট সি, নায়াসিনামাইড, মালবেরি বা বেয়ারবেরি এক্সট্রাক্ট, গ্রেপ সিড এক্সট্রাক্ট আছে-এমন উপাদানসমৃদ্ধ মাস্ক বাছাই করতে হবে।

তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে উপটান তৈরি করতে পারেন। ১২/১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক ত্বকে দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ওপরের দিকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করে কিছুক্ষণ রেখে পানির ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

স্বাভাবিক ত্বকে এক টুকরা পাকা পেঁপে মুখে, ঘাড়ে, গলায় ঘষে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কমলালেবুর খোসার বাটা, কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখ-ঘাড়-গলায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। 

এরপর ত্বক ও বয়স উপযোগী ভিটামিন সি, ই, নায়াসিনামাইড, ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড, রেটিনল, ফেরুলিক অ্যাসিড ইত্যাদি সেরাম লাগাতে পারেন। এরপর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। 

একই সঙ্গে সপ্তাহে একদিন কুসুম গরম পানিতে লেবু ও হারবাল শ্যাম্পু মিশিয়ে ১০ মিনিট হাত-পায়ের পাতা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর নরম ব্রাশ দিয়ে হাত-পা ঘষে নিয়ে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। 

পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি পান, হালকা ব্যায়াম এবং রাতে স্মার্ট ফোনে সময় না দিয়ে ঘুমান। এসবে থাকবেন সবসময়ের জন্যই সতেজ ও তরুণ। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //